অজয় ভট্রাচারিয়া
আজ ঢাকায় কুকুর নিধনের সংবাদটি দেখে শৈশবের একটি স্মৃতি মনে পরে গেলো।তখন সদ্য সাইকেল চালানো শিখেছি। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অামিই প্রথম সাইকেল চালানো শিখি। এ সময়কার ছেলেদের কাছে এই সাইকেল চালানো শিখা যতটা সহজ অার সাভাবিক মনে হয় আমাদের সময় এতোটা সহজ ছিলোনা। উচু উচু সাইকেল প্রথমে নিচ দিয়ে একপ্রকার কৌশলে চালানো শিখতে হতো এরপর উপুর দিয়ে হাপ প্যাডেল করে পর্যায়ক্রমে পরিপূর্নভাবে। সেই সময় স্কুলের বার্ষীক পরীক্ষা শেষ হবার পরে ফলাফল দেওয়ার পূর্ববর্তী সময়টুকু অফুরন্ত অবসর। অামরা সেই অবসরগুলো ভীষন উপভোগ করে কাটাতাম। এরকমই কোন এক বার্ষীক পরীক্ষার পর বিকালে সাইকেল নিয়ে অামরা তিন বন্ধু অামি, মাহাবুব, রকি সাইকেল নিয়ে বের হইয়েছি ঘুড়তে। একগ্রাম থেকে অারেক গ্রামে এইভাবে অনেক দূ
র গ্রামে চলে যেতাম অাবার সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে অাসতাম।একদিন পূর্ব দিকে গেলে অারেকদিন দক্ষিন দিকে এই ভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই অামাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী সকল গ্রাম অাবিষ্কার করছি।তখন শীতকাল ডিসেম্বরের শেষ দিকে। রাস্তার পাশদিয়ে থাকতো নারার (ধান কাটার পর যে অংশ থেকে যেত গোরার দিকের) পালা। সেরকমই কোন একটি জায়গায় সন্ধ্যার দিকে চারটি খুব সুন্দর কুকুর ছানা দেখলাম…।সেগুলো এতো ভাল লাগলো যে লাল রংয়ের একটিকে সাথে নিয়ে অাসলাম উদ্দেশ্য খুব অাদর করে পালবো,শিকারী বানাবো, সবসময় অামার কাছে থাকবে অামার সাথে ঘুরবে…।কিন্তু বাড়িতে অানার পরে দেখাগেলো বিপত্তি। সারাক্ষন ক্যু ক্যু শব্দ করতে থাকলো..ট্যাবা দিয়ে ঢেকে রাখলাম বারান্দায় কিন্তু রাত ভর এমন কান্না করতে থাকলো। বাড়িতে সবাই অামাকে বকা-ঝকা শুরু করলো খুব। মা বুঝিয়ে বললো ” বাচ্চা কুকুরটি এখনও মায়ের দুধ ছাড়ে নাই মায়ের জন্যে কানতাছে, যেখান থেকে নিয়ে অাসসোছ কাল সকালেই সেইখানে যাইয়া রাইখা অাসবি..পরের দিন সকালে উঠেই একটা ব্যাগের মধ্যে ভরে সেই জায়গাটাতেই গিয়ে দেখি মা-কুকুরটি শুয়ে অাছে তিনটি ছানা মাতৃদুগ্ধ পান করছে। ব্যাগ থেকে খুলে অামার নেওয়া বাচ্চাটি ছেড়ে দেওয়ার পরে সে বাচ্চা দৌড়ে তার মায়ের দিকে গেলো ক্যু ক্যু শব্দ করতে করতে তার মাও তার দিকে দৌড়ে অাসলো এবং বাচ্চাটির মাথায় গায়ে চাটতে লাগলো লেজ নেড়ে নেড়ে। দৃশ্যটি মনে করলে এখনও আমাকে মুগ্ধ করে.
লেখকঃ শিক্ষক, সৃষ্টি স্কুল, টাঙ্গাইল।
- ভাবনার হালখাতা ২০২৪
মাসুদ করিম
- ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ - শর্ত - নভেম্বর ৫, ২০২৪
- উন্মুক্ত দরপত্রের নিয়ম না মেনেই জাতীয় যুব দিবসের কাজ দিয়ে দিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক - অক্টোবর ২৫, ২০২৪
It is perfect time to make some plans for the future and it’s time to be happy. I have read this post and if I could I wish to suggest you some interesting things or advice. Perhaps you can write next articles referring to this article. I want to read more things about it!
Thank you a bunch for sharing this with all of us you really recognise what you’re speaking approximately! Bookmarked. Kindly also consult with my site =). We can have a hyperlink change agreement between us!