সাম্য রহমান
বই পড়ুয়া মানুষগুলোকে আমি ভালবাসি। তাদেরকে খুব আপনজন বলে মনে হয়। মনে হয় আমার মগজের আত্মীয় ।আর বইগুলো যদি অপবই বা ছাপাখানার পাপ না হয়ে থাকে তবে সেই বই আর বইয়ের পাঠককে আমার মনে হয় রক্তসম্পর্কজাত আমার মায়েরই সন্তান।
নাট্যসংগঠক আর সফল একজন নাটক লেখক মামুনুর রশীদের সাথে একদিন “বঙ্গবন্ধুর অপ্রকাশিত আত্মজীবনী “বইটা নিয়ে আলাপকালে প্রায় চমকেই উঠেছিলাম। কেননা সে বলেছিল, বইটা একটানে সে পড়ে শেষ করেছিল এবং পাঠ শেষের পর বাকী রাতটুকু তার কেটেছে নির্ঘুমে। ঐ আত্মজীবনী সারা রাতের ঘুম কেড়ে নেবার ক্ষমতা রাখে।শাহাদুজ্জামানের ” ক্রাচের কর্নেল” বইটা যারা পড়েছেন কিংবা আমি যার ভাব সদস্য সেই বটতলা নাট্যদলের নাটক “ক্রাচের কর্নেল” যারা দেখেছেন তারাই জানেন, তারাই বোঝেন ধর্মান্ধ আর দলকানা ছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অন্তত একবার বইটা আর অন্ততঃ দুবার নাট্য প্রযোজনাটা দেখা উচিত।যে ৯ টা বই এর নাম পড়তে পারছি আমি, তার মধ্যে মাত্র দুটোর কথাই বললাম।
আলোচ্য ৯ খানা তথাকথিত আউট বুক বা পাঠ্যের বাইরের বই যার পড়ার টেবিলে ছিল,
তাকে পিটিয়ে মেরে ফ্যালা হয়েছে।
গত দুতিনদিনে এ নিয়ে যমুনার অনেক ঘোলা জল প্রবাহীত হবার পর, বেশ কিছু আগ্নেয়গিরি র জ্বালামুখ খুলে গিয়ে উতপ্ত লাভা ছড়িয়ে পরার পর,
যখন—–রাজা-গজা, উজির-নাজির সকলেই নড়েচড়ে বসে, বিরষ বদনে ভাবতে বাধ্য হচ্ছিল যে; তবে কি সত্যিই সময় সমাগত!! !!!!
প্রায় সমাগত কিংবা যখন একটু আলো আসছিল তখনই পুরো ব্যপারটাকে জাষ্ট কন ফিউজ করে দিয়ে মূল প্রশ্ন তোলা হল, ছাত্র রাজনীতি থাকবে কিনা?
৫২, ৬৯, ৭১, ৯০ এর ছাত্র রাজনীতিরই ফসল আমার এই বাংলাদেশ।
তবুও ছাত্র রাজনীতির নামে, হল দখলের নামে, রেগিং এর নামে, ক্ষমতা দেখানো কিংবা বিকৃত পশুপ্রবৃত্তি চরিতার্থের নামে ছাত্রদের খুন করা হচ্ছে স্বাধীনতার পর থেকেই।তারপরও বলবো থাকুক ছাত্ররাজনীতি। হলি আর্টিজেনে ম্যাসাকার করা অমানুষগুলো কেউই ছাত্ররাজনীতি করতো না।
কলো টাকা ওয়ালা ক্ষমতাবাণদের সন্তানদের নিজ নিজ বিদ্যাপিঠে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে নৃশংস বিকৃত ধরনের রাজনীতিরর চর্চা করা হতো।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে, সকল জানালা বন্ধ করে একজন উন্নত মানের বর্বর খুনীর উৎপাদন করা যেতে পারে।
আর কিছুই না।
অপরদিকে ছাত্র হযরানী বন্ধ আর স্বাধীনতা পরবর্তি ছাত্র হত্যার বিচার গুলো যদি হত তবে ছাত্ররাজনীতির এত ভংয়কর রুপ আমাদের দেখতে হত না। সঠিক আর দ্রুত বিচার আজ থেকে নিশ্চিত করলেও অপরাজনীতি বন্ধ হবে বলে মনে করি।
আবরাবের উদোম শরীরের লাল -কালো সূর্যের মতই জ্বল জ্বল করা দাগ গুলো, যে চিরস্থায়ী ছাপ একে দিল তার মা আর বাবার মগজে, যে আগ্নেয়গিরির জ্বালমুখ খুলে দিল তার ছোট ভাই আর সহপাঠী বন্ধুদের মগজে আর ক্ষণস্হায়ী যে কম্পন তুললো ঘুনপোকায় খাওয়া একদেশ আমপাবলিকের মগজে , তারা না হয় ইতিহাস হয়েই থাকুক।তুবও ছাত্র রাজনীতি বেঁচে থাকুক।
অগ্রাহায়ণ মাসে গ্রামের বাড়ির ফসলের মাঠে আমন ধানের উচ্ছিষ্ট মানে রামপুর দড়িখোশিলার মানুষ যাকে বলে নাড়া,তা জ্বালিয়ে দেয়া হত। দূর থেকে দেখতাম কুন্ডলিপাকানো কালো ধোয়া দিগন্তে নাকি নীল আকাশের ঠিক মাঝ বরাবর গিয়ে আঘাত করতো । আর কাছ থেকে জ্বল জ্বল করা নাড়ার আগুনকে দেখতাম সব পুড়িয়ে খাক্ করতে করতে এগুতে ।মূলত এই পুড়িয়ে খাক করাটা আগামী মৌসুমের ফসলের উর্বরতার জন্যই।
আর ফসলের মাঠের ঐ উর্বরতা বেহুদা আমলা, প্রতিবন্ধী ভিসি, অর্থগৃধ্নু নেতা, আত্মাবিক্রি করা বুদ্ধিজীবী কোনদিনই আনতে পারেনি, পারবেও না কখনও।
তাই সুষ্ঠ ছাত্ররাজনীতিই পারে, ফসলের মাঠের উর্বরতা বাড়িয়ে দেশটাকে সবুজে সোনায় রুপান্তরিত করতে ।কিছ সুস্হ, নির্মোহ রাজনৈতিক প্রদর্শক তৈরী করে আরবার থেকে বিশ্বজিৎ এর মায়ের ছোখের জল মুছিয়ে দিতে একমাত্র তারাই পারে।
আপনার কি মনে হয়?
Latest posts by ড্রিমমেকার অনলাইন ম্যাগাজিন (see all)
- শর্ত - নভেম্বর ৫, ২০২৪
- উন্মুক্ত দরপত্রের নিয়ম না মেনেই জাতীয় যুব দিবসের কাজ দিয়ে দিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক - অক্টোবর ২৫, ২০২৪
- স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাদ্য: প্রত্যাশা’র সেইফ হেলথ কেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য ।
প্রত্যাশা’র নতুন উদ্যোগ: সেফ হেলথ কেয়ার প্রকল্প
- অক্টোবর ৯, ২০২৪
I’m impressed, I have to say. Actually not often do I encounter a weblog that’s both educative and entertaining, and let me tell you, you may have hit the nail on the head. Your concept is outstanding; the problem is one thing that not sufficient individuals are talking intelligently about. I am very happy that I stumbled throughout this in my search for one thing regarding this.
Thanks for helping out, good info. “Whoever obeys the gods, to him they particularly listen.” by Homer.