রিমঝিম
সমাজ তার নাম মিনি। এই সমাজের লোকজন তাকে ছোট থেকে বড় হতে দেখলো। ছোট থেকেই সে সবার প্রিয়,কারণ তার গুণ ও অনেক। পারার সব প্রতিযোগিতায় সে প্রথম হতো,মেধাবী ও ছিল অনেক।এইতো কিছুদিন আগেই পাবলিক পরীক্ষায় সব থেকে বেশি নম্বর মিনিই পেলো। সেই এক রকমের ধুম পরে গেলো পারায়। মিষ্টি বিতরণ এর সাথে সাথে সবাই প্রশংসাই পঞ্চমুখ।বাবা মার খুশির অন্ত থাকলো না। এইতো সব ভালই যাচ্ছিলো সময়, তারপর না যানি কার নজর লাগলো মিনির উপর। মিনি বলল সে ঘুরতে যাবে বন্ধুদের সাথে।দূরে দেখে বাবা রাজি ছিলো না,তবুও মেয়ের মুখ চেয়ে রাজি হয়ে যায়। যাওয়ার দিন অনেক খুশি ছিলো মিনি।নতুন জামা,জুতো পরে সে বেরোলো ঘুরতে। তার যেন খুশির অন্ত ছিল না।বন্ধুদের সাথে হাসি ঠাট্টা করে দিনটি উপভোগ করে।ফেরার পথে হঠাৎ একটা অঘটন ঘটলো।সবাই বাড়ির পথে রওনা দিল।মিনির বাড়ি ছিল একটু দূরে।এজন্য সে একা পরে গেলো।যাওয়ার পথে কিছু জন্তুরূপী মানুষরা তাকে ঘেরাও করলো। যা ঘটার ছিল না তাই ঘটলো। মিনি তার সব শক্তি দিয়ে চেষ্টা করলো নিজেকে বাচানোর। কিন্তু পারলো না নিজের সম্মান বাচাতে।
নররূপী পিশাযরা তাকে ছিরে খেলো।মিনি কি ভেবেছিলো তার খুশি তার দুখে পরিনত হবে কয়েক মুহূর্তের মদ্ধে।খবরটা ছরিয়ে পরলো।বাবা-মা জীবন্ত লাশ হয়ে গেলো। তাদের একমাত্র মেয়েটির সাথে যে এমন হবে তারা কল্পনাও করেনি।যে সমাজ তাদের মাথায় তুলে রাখতো সে সমাজ আজ তাদের ধিক্কার করছে।যে মেয়েকে তারা বলতো পারার অহংকার তারা আজ তাকে কলংক বলছে।আরও কতো কি।কোন বাবা মাকে এটাও শুনতে হবে যে তার মেয়ে নস্ট হয়ে গেছে এটা মিনি কখনও সপ্নেও ভাবেনি।এই নোংরা সত্তি তাকে পদে পদে মনে করিয়ে দিত এই সমাজ।এক তো নিজের সম্মানহানি তার উপর সমাজের ধিক্কার তাকে নিজের জীবনের উপর ঘেন্না ধরিয়ে দিলো।অবশেষে তাকে মৃত্তুর পথই বেছে নিতে হলো। সমাজ তাকে ঠাই দিলো না কিন্তু কবর দিলো।যেই সমাজের জন্য সে এতো নাম করলো সেই সমাজ ই তার পাশে দারালো না।তারা যদি একবার বলতো আমরা তোমার পাশে আছি তাহলে একটু হলেও নিজের উপর ঘেন্না হতো না,সে ভাবতো আমার পাশে পুরো সমাজ আছে।তারাও আমার পরিবার। কিন্তু সমাজ চিরকাল সমাজ ই থেকে গেলো।সমালোচনা,অপমান,অবহেলা,ধিক্কার ছাড়া সমাজের আর কাজ নেই।দুখের বিষয় হলো আমরাও এই সমাজেরই মানুষ।কাল আমরাও বিপদে পরতে পারি।কিন্তু তখন কি আমরা এই সমাজের উপর কোন আশা রাখতে পারবো?তাদের থেকে এতোটুকুও সাহায্য পাবো
- শর্ত - নভেম্বর ৫, ২০২৪
- উন্মুক্ত দরপত্রের নিয়ম না মেনেই জাতীয় যুব দিবসের কাজ দিয়ে দিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক - অক্টোবর ২৫, ২০২৪
- স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাদ্য: প্রত্যাশা’র সেইফ হেলথ কেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য ।
প্রত্যাশা’র নতুন উদ্যোগ: সেফ হেলথ কেয়ার প্রকল্প
- অক্টোবর ৯, ২০২৪
gluco6 reviews : https://gluco6reviews.usaloves.com/
gluco6 reviews : https://gluco6reviews.usaloves.com/
gluco6 reviews : https://gluco6reviews.usaloves.com/
gluco6 reviews : https://gluco6reviews.usaloves.com/