নিতু সকাল বেলা বাজার করে বাসায় ফিরছিল।বাসায় ফ্রিজে মাছ ,মাংস কিছু নেই । বাসার বাবুর্চির চিন্তার শেষ নেই । “আন্টি ফ্রিজ তো খালি”,আন্টি কিছুই তো নাই , খাইবেন কি ? বাবুর্চির এই নাই নাই ঘ্যানঘ্যানানি নিতুর খুব বিরক্ত লাগে । নিতু বাসায় ফিরছে আর গাড়ীর জানালা দিয়ে রাস্তা দেখছে । কত রকম মানুষ , কত রকমের কাজ তাদের । না জানি কার মনে কি চিন্তা ! নিতু দেখে , রাস্তার ঠেলা ওয়ালার কাছ থেকে দুজন যুবক কাঠিতে লাগানো দুটো আনারস নিয়ে তৃপ্তির সাথে কামড় দিয়ে দিয়ে খাচ্ছে । নিতুর খুব মজা লাগে দেখতে । “এরা অল্পতেই কি তৃপ্ত ! “মনে মনে নিতু বলে । রাশেদও আনারস খেতে পছন্দ করে ।
রাশেদ চৌকস , প্রানোচ্ছল, চটপটে , খুব হাসিখুশি একজন মানুষ , নিতুর হাসবেন্ড। সবাই বলে , রাশেদ খুব ফান লাভিং, কাজে কর্মেও মেধাবী , চটপটে । এক কথায় রাশেদ এর গুন এর কোন অভাব নাই । যে কোন খেলাধুলাতেও বেশ পারদর্শি। খেলা পাগল বলা যায় তাকে । নিতু শান্ত , ধিরস্থর , স্বলপভাষী ।ফান করতে সে মোটেও পারে না ,কোন কৌতুকও তার জানা নেই । হাঁড়িপাতিল ছাড়া কোন খেলাধুলা তো করেই নি কখনো, আরাম, আয়েশে নিরিবিলি থাকতে নিতু ভালবাসে। এক কথায় যাকে বলে বোরিং ।
রাশেদ বিয়ের পর প্রথম দিকে ভাবতো “এটা কে এলো তার হই হুল্লোড় এ ভরা জীবনে । শুধু সুন্দর হলেই তো হয় না , কিছু এক্সট্রা কোয়ালিটিও লাগে জীবন যাপনের জন্য ।” রাশেদ এর কত শখ ছিল “ তার বউ গান জানবে , তাকে গান শুনাবে । তার বন্ধুরা ,কলিগরা তার বউ এর গান শুনবে । বউ তার সাথে চুটিয়ে তাশ খেলবে । বউকে গাড়িতে পাশের সিটে বসিয়ে ফুল ভলিউমে মিউজিক দিয়ে লং ড্রাইভে যাবে , দুজনে একসাথে সিগারেট খাবে । এক কথায় উচ্ছল চটপটে হবে তার বউটি । নিতুর ছবি দেখেই প্রেমে পড়ে নিতু কে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল রাশেদ। নিতুও রাশেদ এর চৌকস ছবি দেখে প্রেমে পড়ে রাশেদেকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায় । দুজনের দুজনকে জানা হয় না । দুই চার বার ফোনে কথা হয়েছিল এই যা ।”ভার্চুয়াল লাভ “।
সুন্দরী নিতু ছোট বেলা থেকেই অনেক অনুশাসন এর মধ্যে বেড়ে উঠেছে । জীবনে কখনো কারো প্রেমে পড়া হয় নি । নিতুর শান্ত স্বভাব আর পবিত্র সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে যে কেউ ওকে প্রথম দেখতো সেই ওর প্রেমে পড়ে যেতো ।ইউনিভর্সিটিতে পড়ার সময় নিতুর প্রেমিক এর সংখ্যা বেড়ে গেলো।ইউনিভার্সিটির বাস ষ্ট্যান্ড এ ওর প্রেমিকরা দাঁড়িয়ে থাকতো নিতু কে দেখার জন্য , ওর সাথে একটু কথা বলার জন্য । কিন্তু এসব নিতুর মনে কোন প্রভাব ফেলতো না , কিছুটা অহংকারি কি ছিল সে ? নিতুর এখন তাই মনে হয় ।নিতুর বন্ধু-বান্ধবী রা বলতো “আমাদের সুন্দরী বান্ধবী “। নিতু ভাবতো সৌন্দর্য্য আর পড়াশুনায় মেধাবী হলেই বিশ্ব কে জয় করার জন্য যথেষ্ট । কিন্তু বিয়ের পরে দেখলো বাস্তব একেবারে উল্টো । তার আরো গুনোবতি হওয়া দরকার ছিল । নিতু বাজার নিয়ে বাসায় ঢুকেই শাপলা কে বাজার গুছাতে বললো ,শাপলা নিতুর সারাক্ষন এর সংগী ,বলে।”আন্টি আপনি কি খাবেন, আপনার জন্য তো কিছুই আনেন নাই ?” নিতু সব রাশেদ এর পছন্দের খাবার বাজার করে এনেছে , নিতু সব সময় এটাই করে । বিয়ের পরে প্রথম প্রথম যখন নিতু রান্না করে রাশেদ কে খাওয়াতো , ও বলতো , “তোমার হাতের রান্না খেয়ে আমার আম্মার রান্নার অভাব বোধ হয় না ।” “এতো মজা করে রাঁধো তুমি আমার স্বাস্থ্য কমবে কি ভাবে ? “ নিতুর এসব কথা শুনতে খুব ভাল লাগতো । ব্যাস এইটুকুই , তারা দুজন পাশাপাশি বসে থাকে কিন্তু তাদের মধ্যে কোন গল্প হয় না , নিতু আশা করে বসে থাকে , রাশেদ তার সাথে অনেক গল্প করবে , সারা দিন কোথায় কি হলো সব কথা বলবে , কিন্তু নিতুর শান্ত স্বভাব এর কাছে রাশেদ কখনো সহজ হতে পারে না ।
টেলিভিশন এর সামনে তারা পাশাপাশি চুপচাপ বসে থাকে । নিতু হয়তো ধীরে ধীরে সারাদিন এর ঘটে যাওয়া দুই একটা ঘটনা বলে , রাশেদ কে দুই একটা প্রশ্ন করে , রাশেদ কোনরকম একটা উত্তর দিয়ে দেয় , নিতুর মন ভরে না । তাদের জীবনটাই সীমাবদ্ধ হয়ে যায় “গুডমর্নিং”, “গুডনাইট” আর মাঝখানে “ আজ কি খাবে বা কি খাবো” এর মধ্যে। মাঝে মাঝে তারা বাইরে বেড়াতে যায় ,রাশেদ ড্রাইভিং সিট এ আর নিতু পাশের সিট এ , দুজন চুপচাপ চলতে থাকে । চণ্চল স্বভাব এর রাশেদ নিতুর সামনে এলেই নিজেকে কেমন গুটিয়ে নেয় । নিতু ভেবেছিল একসময় সবাই ওকেএতো পছন্দ করতো ,ওর হাসবেন্ডও ওর পিছনে পিছনে ঘুরবে , ওর সাথে কথা বলার জন্য অস্থির হয়ে থাকবে । বাস্তবে সব উল্টো হয়ে যায় ।ধীরস্থির ভাবে নিতু কোন গল্প শুরু করলে রাশেদ এর ধৈর্য্য থাকে না ,কিছু একটা বলে উঠে পড়ে । নিতুর কথা শেষ করা হয় না , ওর মন খুব খারাপ হয়ে যায় । নিতুর মন খারাপ দিন দিন বাড়তে থাকে । নিতু ওর কষ্টের কথা গুলি ওর বন্ধুদের অথবা বাবা মা কাউকে বলতে পারে না , মনে হয় এতে নিজেকেই সবার কাছে ছোট করা হবে ।রাশেদ অফিস শেষ করে তার বন্ধু অথবা কলিগ দের সাথে প্রতিদিন সময় কাটিয়ে অনেক রাত করে বাসায় ফিরে , বিশাল বাড়িতে নিতু একা একা রাশেদ এর অপেক্ষায় বসে থাকে । “এতো রাত হলো যে”? নিতু প্রশ্ন করলে রাশেদ বিরক্ত হয়ে বলে “কাজ ছিল “ “কি কাজ “? নিতু প্রশ্ন করে , রাশেদ আরো বিরক্ত হয়ে বলে “অনেক কাজ “ । চ্ণচল রাশেদ এর শান্ত নিতুর সাথে অবসর কাটাতে দম বন্ধ হয়ে যায় । মাঝে মাঝে রাশেদ এর কলিগ এর বউ রা নিতুকে ফোন করে বলে “ভাবী, ভাই যে এতো রাত করে বাইরে থাকে , আপনি কিছু বলেন না কেনো? “ কারন এতে তাদের হাসবেন্ডদেরকেও বেশী রাত পর্যন্ত বাইরে থাকতে হয় । নিতুর খুব লজ্জা লাগে , কোন উত্তর দিতে পারে না । অন্য কথা বলে পাশ কাটিয়ে যায় , রাশেদকেও এসব নিয়ে ও কিছু বলে না । স্বভাবতই ওর অশান্তি ভাল লাগে না । রাশেদ তাকে আসলেই ভালবাসতে পেরেছে কি না নিতু আজও বুঝতে পারে না ।
রাশেদও অফিসে বসে কাজের ফাঁকে ভাবে “নিতু আমি তোমাকে এতো ভালবাসি , তুমি এতো চুপচাপ থাকো কেনো” ? তুমি কি আমাকে পছন্দ করো না “ নিতু সারা দিন খুব সুন্দর করে ঘর সাজায়, রাশেদ অফিস থেকে যেদিন সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরে , বলে “আহ্! কি শান্তির সংসার আমার ! নিতুর শুনতে খুব ভাল লাগে। একদিন রাশেদ এর কলিগ এর বউ ফোন করে “ভাবী , ভাই বেচারার জন্য খুব খারাপ লাগে ? “ নিতু প্রশ্ন করে , কেন ভাবী কি হয়েছে ? “ “এই যে ওই দিন ভাই অফিস এর পিকনিকে ঘড়িটা হারিয়ে ফেললেন “নিতু আকাশ থেকে পড়লো , “এতো শখ করে নিতু রাশেদ এর জন্মদিনে ওমেগা ঘড়িটা গিফ্ট করেছিল , এতোদিন হলো ঘড়িটা হারিয়েছে , ওর কাছে লুকিয়ে রাখলো ব্যাপারটা ? “ নিতু ফোন রেখে কেঁদে ফেলে ।রাশেদ এরকম অনেক কথাই নিতুর কাছে বলে না । এই যেমন রাশেদ এর মা অসুস্থ ছিল এই খবর নিতু জানতে পারে ওর মা সুস্থ হওয়ার পরে , নিতুর জা এর কাছ থেকে । নিতুর খুব খারাপ লাগে , শ্বাশুড়ি হয়তো নিতুকে ভুল বুঝে বসে আছেন ।আর অফিস এর কিংবা বন্ধুদের কোন খবরই রাশেদ নিতুকে জানায় না । পরে হয়তো কোন ভাবী ফোন করে তাকে বিস্তারিত খবর দেয় ।এটাও একটা রাশেদ এর চরিত্রের অংশ । নিতুর কাছে সব ব্যাপার গোপন করে যাওয়া । নিতুর খুব অপমান বোধ হয় ,“আল্লাহ্ ভাবী ভাই আপনাকে কিছুই বলে নি “? কারো ফোন কল আসলে “আল্লাহ্ ! ভাবী , ভাই আপনাকে কিছুই বলে নি ?” -এই কথা শুনার জন্য নিতু এখন প্রস্তুত হয়ে যায় । রাশেদ এর একমাত্র বোন এর বিয়ের কথা চলছে , এই খবরটাও নিতুকে শুনতে হয় ওর ওই জা এর কাছ থেকেই । নিতুর এই জা এর সাথে রাশেদ এর খুব ভাব ,চটপটে , গান করে ভাল , প্রাণ খুলে হাসে , সবার সাথে ভাল মিশে যেতে পারে । বিয়ের আগে রাশেদ বলতো ,”ভাবী আমার বউটা যেনো তোমার মতো হয় , উচ্ছল , চটপটে “। কিন্তু নিতু কে বিয়ে করার পরে ওর শান্ত স্নিগ্ধ স্বভাব টাই রাশেদ এর খুব ভাল লাগে , নিতু যখন ওর সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করে রাশেদ এর মনে হয় ওর সামনে কোন স্বর্গীয় হুর ঘুরে বেরাচ্ছে । কিন্তু তার এই অনুভুতির কথা গুলো সে নিতু কে বলতে পারে না । রাশেদ মনে করে এগুলি শুধুই অনুভব করার বিষয় , বলার বিষয় নয় । নিতু বেশ মেধাবী , কিন্তু রাশেদ এর মেধা আরো বেশী ধারালো । তাই হয়তো তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক টা গড়ে উঠে নি ,শুধুই মায়া আর দায়িত্ব পালন এর সম্পর্ক ।আরও মেধাবী হওয়া উচিত ছিল নিতুর , অসহায় নিতু সারাদিন এই সবই ভাবতে থাকে ।নিজেকে নিজের মধ্যে গুটিয়ে রাখা নিতু কারো সাথে তার কষ্ট গুলি নিয়ে কথা বলে না , তাই যত দিন যায় ও ততোই অসহায়ত্ব আর নিস্বংগতায় ভুগতে থাকে । রাশেদ অফিসে একজন নতুন কলিগ আসে , অথৈ ।বেশ স্মার্ট । রাশেদ এর সাথে বেশ ভাব হয়ে যায় । একটু আধটু প্রেম ও বলা যায় । রাশেদ এর দিন গুলি ভালই কাটে । রাতে অথৈ রাশেদ কে ফোন করলে বেশ হেসে হেসে রাশেদ ফোন এ কথা বলে ।অফিস থেকে রাশেদ বাড়িতে ফিরে নিতু কে বলে “সারাদিন ঘরে থাকো কি ভাবে ?” নিতু ভাবে আসলেই তো ! সারাদিন একা একা সংসার সাজিয়ে কি লাভ হচ্ছে তার? তাই সে এখন প্রতিদিন খবরের কাগজে চোখ বুলায় , কোথাও কোন আরামের চাকরি যদি পাওয়া যায়? সে তো আরাম প্রিয়ও বটে । কিন্তু এভাবে আর একা একা ঘরে বসে দিন রাত পার করাও তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে !একদিন রাশেদ এর সব বন্ধুরা তাদের বউ দের সাথে নিয়ে ওদের বাসায় আসে , সবার সাথে রাশেদ হইহুল্লোরে মত্ত হয়ে যায় , নিতু মনে মনে বলে “তুমি তো আমার সাথে কখনই এতো উচ্ছলতা দেখাও না ,একটু হেসেও কথা বলে না “। নিতুরও অনেক বন্ধু ছিল, কিন্তু সংসার কে ও এতোটাই ভালবেসে ফেলে যে, সব বন্ধুদের সাথে ওর দুরত্ব তৈরী হয়ে গেছে । রাশেদ কে নিতু দোষ দেয় না , বরং ওর জন্য নিতুর মায়া হয় , তার জন্যই রাশেদ এর জীবন টা অপূর্ণ ।রাশেদ এর এক বন্ধু এক ফাঁকে বলে ফেলে , “ভাবী , আপনি আর রাশেদ দুজন দুই প্রান্তের মানুষ , রাশেদকে সেদিন সন্ধ্যায় বললাম কিরে বাসায় যাবি না ? ও বলল কি জানেন , “আমার বউ এক ঘন্টা পর কথা বলে একটা , বাসায় যেয়ে কি লাভ?” নিতুর এতো অপমানবোধ আর কোনদিনই হয় নি ।এই কষ্ট আর সে নিতে পারে না । এতোদিন খবরের কাগজ ঘেঁটে একটা মফস্বল এর স্কুলে শিক্ষিকা নিবে দেখেছিল । পরদিন সকালে উঠেই সে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে ফোন করে । নিতুর ভাল রেজাল্ট , উচ্চ শিক্ষা দেখে প্রধান শিক্ষক নিতুকে স্কুলে জয়েন করতে বলেন । নিতু ওর জিনিস পত্র গুছাতে শুরু করে দেয় আর রাশেদ বলতে থাকে , “নিতু প্লিজ যেও না , আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না “। নিতুও মনে মনে বলে “আমি আর কষ্ট পেতে চাই না , তোমার কোন দোষ নেই , আমিই ব্যর্থ “ নিতু যা বলে সবই মনে মনে , ওই যে “এক ঘন্টা পরে কথা বলে একটা “রাশেদ তো ঠিক ই বলেছে । “নিতু কে ছেড়ে রাশেদ এর না থাকতে পারার কোন কারন নেই । নিতু তাকে তো কখনোই কোন আনন্দ দিতে পারে নি ।” নিতু মফস্বলে চলে গেলো। ওখান থেকে নিতু ওর বাবাকে ফোন করে বলে “বাবা , তোমরা আমাকে এতো বোকা করে মানুষ করলে কেনো ??? “ ছোট্ট শহরে মিতুর রিক্সা করে ঘুরে বেড়াতে খুব ভাল লাগে ।স্কুলের বাচ্চাদের কলকলানিতে ওর মনে দারুন একটা আনন্দ অনুভুতি জাগে ।বাচ্চারা ওকে কতো পছন্দ করে !! ওর চার পাশে ঘুর ঘুর করে । ছোট্ট ছিমছাম একটা বাসা তার , প্রধান শিক্ষক সাহেবই তাকে সবকিছু রেডি করে দিয়েছেন , উনার স্ত্রী একজন সারাক্ষন এর জন্য নিতুর সব কাজ করে দেবার মেয়ে ঠিক করে দিয়েছেন । নিতুর বেশ প্রশান্তি লাগে । নিতুর বাসার সামনে একটা কাঁঠাল গাছ আছে , কাঁঠাল গাছের পাতা, গাছের গোড়া ওর খুব ভাল লাগে , ছোটবেলায় ওদের বাড়ির উঠানে একটা কাঁঠাল গাছ ছিল , নিতু ওর ছেলেবেলার বন্ধুদের সাথে ওই কাঁঠাল গাছ তলায় হাঁড়িপাতিল খেলতো।তাই হয়তো কাঁঠাল গাছ ওর এতো পছন্দ ! এসব ব্যাপার বিয়ের দুই বছরে ভুলেই গিয়েছিল ,সেই বন্ধুরা সবাই এখন কে কোথায় কেমন আছে , খুব জানতে ইচ্ছে করে নিতুর ! ও ছোট্ট বারান্দায় বসে কাঁঠাল গাছটির দিকে তাকিয়ে থাকে । ঘরে ঢুকে নিতু বারে বারে ফোন টার দিকে তাকায়।অপেক্ষা করে হয়তো রাশেদ ওকে ফোন করবে …নিতুর মনটা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে .. একবুক কষ্ট নিয়ে ঘুমাতে যায় । রাশেদ এর আর এখন বন্ধুদের সাথে রাত করে আড্ডা দিতে ইচ্ছা করে না । হৈচৈ , আড্ডা আর ভাল লাগেনা,চুপচাপ অফিস এর কাজ শেষ করে সোজা বাসায় চলে আসে , রকিং চেয়ারে বসে বসে দোল খায়।চারিদিকে নিতুর হাত এর ছোঁয়া , নিতুর নিজ হাতে গুছিয়ে রাখা রাশেদ এর জিনিসগুলো এলোমেলো হয়ে আছে । নিতুর ফেলে যাওয়া প্রিয় জিনিস গুলো রাশেদ হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখে .. অথৈ এর ফোন আসে,রাশেদ রিসিভ করে না , রাশেদ আর জীবন টা কে এনজয় করতে পারে না । রাশেদ বারান্দায় বসে একটার পর একটা সিগারেট শেষ করে আর নিতুর ফোন এর অপেক্ষা করে , একদিন নিতু তার কাছে ফিরে আসবে এই আশায় …
লেখক : সাবরিনা সারাওয়াৎ স্বাতী ।
- শর্ত - নভেম্বর ৫, ২০২৪
- উন্মুক্ত দরপত্রের নিয়ম না মেনেই জাতীয় যুব দিবসের কাজ দিয়ে দিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক - অক্টোবর ২৫, ২০২৪
- স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাদ্য: প্রত্যাশা’র সেইফ হেলথ কেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য ।
প্রত্যাশা’র নতুন উদ্যোগ: সেফ হেলথ কেয়ার প্রকল্প
- অক্টোবর ৯, ২০২৪
gluco6 reviews : https://gluco6reviews.usaloves.com/
gluco6 reviews : https://gluco6reviews.usaloves.com/
gluco6 reviews : https://gluco6reviews.usaloves.com/