অ্যানিমেশণ

অ্যানিমেশন বা সজীবতা (ইংরেজি: Animation) হচ্ছে স্থির চিত্রের একটি ক্রম যেগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়া লক্ষ্য করলে জীবন্ত ও সচল বলে মনে হয়। এ্যানিমেশন তৈরী, সংরক্ষণ বা ধারণ করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যেমন: অ্যানালগ পদ্ধতিতে ক্রম-সচল বই, সচল ছবি, ভিডিও টেপ আর ডিজিটাল পদ্ধতিতে জিআইএফ, ফ্লাশ বা ডিজিটাল ভিডিও মাধ্যম ব্যবহার করা হয়। এটি প্রদর্শনের জন্য ক্যামেরা, কম্পিউটার বা প্রজেক্টর ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সহজ অর্থে একে “চলমান চিত্র” বলেও অভিহিত করা যায়। চলচ্চিত্রর এবং অ্যানিমেশনের সংজ্ঞা এবং মূল কারিকরী নীতি একই। চলচ্চিত্রর সংজ্ঞা অ্যানিমেশনকে সঙ্গে নেয়। নির্মাণ প্রক্রিয়ার ভিন্নতা অনুসারে চলচ্চিত্রকে জীবন্ত গতি (live action), বা অ্যানিমেশন এই দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। জীবন্ত গতি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চলমান বস্তুটিকে ক্যামেরার সহায়তায় সময়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অন্তরালে (পারম্পরিক ভাবে সেকেণ্ডে ২৪টা) ফটো তোলা হয়। এই ছবিগুলি চলমান বস্তুটির বিভিন্ন মূহুর্তকে স্থির চিত্র করে ফেলা হয়। প্রতিটি ছবিকে একটি ‘ফ্রেম’ বলা হয়। পরে প্রজেক্টরের সহায়তায় এই ‘ফ্রেম’গুলিকে ক্রম অনুসারে পর্দায় প্রক্ষেপণ করা হয়। দৃষ্টির জড়তা (Persistence of vision) পরিঘটনার জন্য আমাদের চোখ পরপর প্রক্ষেপিত স্থির চিত্রের ক্রমকে গতির ভ্রমে রূপান্তরিত করে এবং আমরা ছবিটিকে চলন্ত দেখি। পরে অবশ্য এই মতকে নাকচ করা হয়। লক্ষ্যনীয় যে এই পদ্ধতিতে একটি বিশেষ যন্ত্র (চলচ্চিত্র ক্যামেরা)র দ্বারা, চলনশীল একটি বস্তুর চলনকে ‘ফ্রেমে’র রূপ দেয়া হয়। অ্যানিমেশন প্রক্রিয়া প্রতিটি ফ্রেমে আলাদা আলাদা সৃষ্টি করা হয়। পরে প্রতিটি ফ্রেমকে ক্রম অনুসারে পর্দায় নিক্ষেপন করে গতির আভাস দেয়া হয়। অ্যানিমেশন নির্মাণ করতে প্রতিটি ফ্রেম একটি একটি করে সৃষ্টি করা হয়। ফ্রেম নির্মাণ বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যায়। হাতে আঁকা এবং একটা বস্তুর অবস্থানের সামান্য পরিবর্তন করে তার ছবি নেওয়া সাধারণত ব্যবহৃত দুটি প্রক্রিয়া। বর্তমান গাণনিক যন্ত্রের (কম্পিউটার) সহায়তায় অ্যানিমেশন নির্মাণ করাটি জনপ্রিয় উপায়। অ্যানিমেশন দ্বিমাত্রিক (2D) বা ত্রিমাত্রিক (3D) হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *