প্রায় ছয়-সাত বছর আগের ঘটনা…তখন আমি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও হিসেবে কর্মরত…উপজেলায় চাকুরীর সময় বিকেলবেলা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতাম আর তার মধ্যে অন্যতম মজার বিষয় ছিল অনকলে বাড়ি গিয়ে রোগী দেখা,তাতে একটু বেশী ভিজিট পাওয়া যেত আর নতুন জায়গায় ঘোরাও হত…যাই হোক হাসপাতালের সামনের শফিকুল আলম নামের এক ওষুধের দোকানী পংবাইজোড়া নামক স্থানে এক অনকলে পাঠালো আর সাথে সেই রোগীর শ্যালক এবং মোটরসাইকেল চালক…তো কি আর করা,সামনে মোটরসাইকেল চালক,তার পেছনে আমি ডাক্তার সাহেব আর পেছনে রোগীর শ্যালক,মোটামুটি স্যান্ডউইচ টাইপের…
প্রায় আধা ঘন্টার উচু-নিচু
কাচা রাস্তায় আমার সামনের আর পেছনের আলাপচারিতায় তাদের এলাকার সকল সমস্যার সমাধান খুঁজার উপায়ে ব্যস্ত রইলো দুজন আর একটু পর পর দুজন দুজনকে মিতা বলে সম্বোধন করতে থাকলো…অবশেষে গন্তব্যে এসে দেখি রোগী বিছানায় শায়িত,আমি যথারীতি তাকে শারীরিকভাবে পরীক্ষানীরিক্ষা করে তার হিস্ট্রি ভালোভাবে নিয়ে প্রেসক্রিপশন করতে গিয়ে তার নাম জিজ্ঞেস করতে সে বলল নাম তার শফিকুল ইসলাম আর আমি তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে আবারও স্যান্ডউইচ অবস্থায় রওনা হলাম আর তাদের আলাপচারিতার কষাঘাতে পিষ্ট হলাম…পরিশেষে আমি সেই ওষুধের দোকানের সামনে নামলাম আর রোগীর শ্যালকের কাছ থেকে ভিজিট গ্রহণ করলাম…কৌতুহলবশত রোগীর শ্যালককে জিজ্ঞেস করলাম,আচ্ছা আপনারা যে সারা রাস্তায় এই যে মিতা মিতা বলতে বলতে আসলেন আপনাদের নামতো জানা হলো না…দুজনেরই একসাথে উওর “শফিকুল”…তখন সেই নাম আর কাহিনী শুনে উপস্থিত সবার হাসতে হাসতে দফারফা সাড়া আমিসহ
লেখক : ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম সজীব.
- শর্ত - নভেম্বর ৫, ২০২৪
- উন্মুক্ত দরপত্রের নিয়ম না মেনেই জাতীয় যুব দিবসের কাজ দিয়ে দিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক - অক্টোবর ২৫, ২০২৪
- স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাদ্য: প্রত্যাশা’র সেইফ হেলথ কেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য ।
প্রত্যাশা’র নতুন উদ্যোগ: সেফ হেলথ কেয়ার প্রকল্প
- অক্টোবর ৯, ২০২৪